গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে আটক হয়েছেন ঢাকাই ছবির একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা একা। রাজধানীর উলনের বাসা থেকে তাকে আটক করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে ইয়াবা এবং বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। শনিবার রাতে গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকেরই প্রশ্ন জাগে— হঠাৎ কোথা থেকে উদয় হলেন একা? একসময়ের হিট নায়িকা কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন? প্রয়াত নায়ক মান্নার সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে করা তার ছবিগুলো এখনও সিনেপ্রেমীরা ভোলেননি।

তবে কেন রুপালি পর্দায় আর তাকে দেখা যায় না? এর কারণ হিসাবে জানা গেছে, মান্নার আকস্মিক মৃত্যুতেই একা নিজেও একা হয়ে পড়েন। পরে আমিন খান, ফেরদৌস, শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করলেও আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। একসময় নীরবে-নিভৃতে সিনেমাপাড়া ছেড়ে দেন একা। নায়ক মান্নার সঙ্গেই টানা ২০-২৫টির মতো ছবি করেছেন একা। এর প্রায় সবই ব্যবসাসফল। বিশেষ করে মান্নার জুটি হিসেবে ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেজী’ ছবি দিয়ে সাড়া ফেলেছিলেন একা। ছবিটির প্রযোজনায় ছিলেন ডিপজল। কাজী হায়াৎ ছিলেন এর নির্মাতা। ওই সময় মান্না-একা জুটি মনে ধরেছিল সিনেপ্রেমীদের। রুপালি পর্দায় নায়িকা একা প্রথম পা রাখেন ১৯৯৭ সালে তোজাম্মেল হক বকুলে ‘রাখাল রাজা’ ছবির মাধ্যমে। তখন তাকে শাহিদা আরবি সিমন নামে চিনত সবাই। সেই বছরের শেষ দিকে মান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে একা নাম ধারণ করেন।

এর পর একা নামেই পরিচিতি পান। ২০১২ সালে কাজী হায়াতের ‘পাগলা হাওয়া’ ছবিতে শেষ দেখা যায় একাকে। এর পর আর কোনো ছবিতে অভিনয় করেননি একা। এর পর অনেকটা হুট করেই অদৃশ্য হয়ে যান একা। সিনেমাপাড়ায় খুঁটি গেড়েও কেন ঝরে পড়লেন একা? সে জবাব এক গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মান্না ভাইয়ের মৃত্যুর পরই আর সেভাবে সফল হতে পারিনি।

অনেক ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। মান্না ভাইয়ের চলে যাওয়ার পর রুবেল, অমিত, আমিন খান, আলেকজান্ডার বো, শাকিল খান, ফেরদৌস, শাকিব খান সবার সঙ্গেই অভিনয় করেছি। ছবিগুলো হিটও হয়েছে। শাকিব খানের সঙ্গে ৮-১০টির মতো ছবিতে কাজ করেছি। তখন প্রায় সব সিনেমাই হিট হতো। অনেক ছবি এখনও পড়ে আছে যেগুলো মুক্তি পায়নি। কিছু ছবি আছে যেগুলোর কাজই শেষ হয়নি। আমি তখন দেখতে পাচ্ছিলাম চারদিকে একটা ষড়যন্ত্র চলছে। শেষ পর্যন্ত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম।